বাটে রক্ত আসা (Bleeding from teat) সাধারণত দুধে বা দোহনের শেষে ফ্রেশ রক্ত বা গােলাপী রংয়ের দুধ আসলে বুঝতে হবে বাট দিয়ে রক্ত আসছে। সাধারণত শাহীওয়াল জাতের গাভীর এ রােগ বেশী দেখা যায়। কারণ:
> জীবুণঘটিত কারণে এ রােগ হয়।
* গাভীর রক্তে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে বাট দিয়ে রক্ত আসতে পারে। লক্ষণসমূহ:
• দুধের সংগে রক্ত দেখা যায়। • দুধে রং হালকা গােলাপী অথবা ফিকে লাল দেখা যায়। • মাঝে মাঝে ভাল দুধ এবং মাঝে মাঝে রক্ত মিশ্রিত দুধ আসতে পারে। • ওলানে সামান্য ব্যাথা থাকতে পারে। * বাটের ভিতর কিছুটা শক্তভাব অনুভব করা যায়। • বাটে রক্ত আসতে থাকলে পরবতীকে বাটের ভিতর টিসুর বৃদ্ধি হয়। • ফলে বাটের ছিদ্র পথ বন্ধ হয়ে যায়।
• আক্রান্ত বাট থেকে দুধ আসা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। রােগ নির্ণয় : ১। বৈশিষ্ট্যপূর্ণ রােগের লক্ষণ ও রােগের ইতিহাস এবং ওলানে ব্যাথা অনুভব হয়।
ইত্যাদি জেনে এ রােগ নির্ণয় করা যায়। ২। দুধ পরীক্ষা করে এরােগ নির্ণয় করা যায়। চিকিৎসা: R, (১) ক্যালসিয়াম ইনজেকশন যেমন- Inj. Decam 200 ml (Acme)।
Inj. Cal-D-Mag 200 ml (Renata) নিয়মঃ উপরে যে কোন একটি মাঝারি গাভীকে ৫০-১০০ মিলি শিরায় দিতে হবে। (3) Inj. Diadin 30 ml (Renata) / Inj. Dimidin 30 ml
(Techno) নিয়ম: যে কোন একটি ৩০ মি.লি শিরায় বা মাংসে পর পর ৩ দিন দিতে হবে।
(৩) Tab. Metharspan (মানুয়ের ঔষধ) ৬০টি
• দুর থেকে দেখলে মনে হয় ওলানে দুধ টন টন করছে কিন্ত বের করা যাচ্ছে না। * বাটের মাঝখানে গিরা বা ছোট টিমারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
নিয়মঃ প্রতিবার ৭-১০টি বড়ি দিনে ২ বার মােট ৩-৪দিন খাওয়াতে হবে।
অথবা
রেনা-কে ১০ গ্রাম (রেনাটা) প্রতিটি গাভীকে ৫গ্রাম প্রতিদিন ৫দিন খাওয়াতে হবে। প্রতিরােধ:
(ক) পশুকে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার দিয়ে এ রােগ প্রতিরােধ করা যায়। (খ) ডেইরী ফার্মের জন্য শাহিওয়াল জাতের গরু নির্বাচন কম করতে হবে। (গ) ওলানে যে কোন প্রকার সংক্রমণ না হয় তার প্রতি তীক্ষ দৃষ্টি রাখতে হবে। (ঘ) গােয়ালাকে গাভীর দুধ দুহানাে আস্তে আস্তে করতে হবে। (ঙ) দুধ দুহানাের সময় যাতে ওলানে কোন প্রকার আঘাত না লাগে সেদিকে লক্ষ্য।
বাটের ছিদ্র বন্ধ থাকার কারণে দুর্থ বাটে আটকে থাকার ফলে একটি বাটি (Teat) মোটা হয়েছে।
রােগ নির্ণয়:
বৈশিষ্টপূর্ণ উপসর্গ ও বাচ্চা দেওয়া, শাহিওয়াল ও দেশী জাতের গাভী এবং পূর্বে
বিয়ানে দুধে রক্ত আসার ইতিহাস জেনে এ রােগ নির্ণয় করা হয়। চিকিৎসা:
বাটের ছিদ্র বন্ধ থাকা (Teat block) গাভী বাচ্চা দেয়ার পর অথবা দুধ দেয়ার সময় কোন কোন গাভীর বাটের ছিদ্র বন্ধ। হয়ে যায় ফলে ওলানে দুধ থাকে তবে বাটের ছিদ্র বন্ধ থাকার কারণে দুধ সহজে বের হতে পারে না। সাধারণত আমাদের দেশের সংকর জাতের গরুতে এবং বিশেষ করে শাহিওয়াল ও দেশী জাতের গাভীর এ রােগটি বেশী দেখা যায় (চিত্র-৩০)। কারণ:
> বাটে ক্ষত হওয়া। > ওলানে Cowpox হলে। > Tumor হলে। > বাটের ছিদ্র পথে Fibrous growth হলে। > দুধ দোহনের সময় বা পরে ফ্রেশ রক্ত আসা পরবর্তী ল্যাকটেশনের বাটে এ
ধরণের রােগ দেখা যায় । লক্ষণ: বাচ্চা হওয়ার পর দেখা যাবে
• পশুর ওলানে প্রচুর দুধ টানলে বাটের ছিদ্র পথ দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে বের হয় না। • বাটের ছিদ্র খুব ছােট হয়। • দুধ আসলে ও দুধের বেগ খুব চিকন বা কম। বার বার টানলে গভীর ব্যাথা অনুভব করে। দুধ টান দিলে বাটের মাধ্যমে এসে বের না হয়ে ড্রপকরে উপরে উঠে যায়।
(১) গরুকে মাটিতে শুয়ায়ে নিয়ন্ত্রণ করে প্রথমে Teat Syphon ঢুকিয়ে
বাটের ছিদ্র পথ ক্লিয়ার করতে হবে। এতে দুধ আসা তখন স্বাভাবিক হয়ে যায়, এতে না হলে বাটের ভিতর মাংস পিন্ড Teat strieter দ্বারা
কেটে দিতে হবে। (২) বীটের ভিতরে কোন জীবাণুর আক্রমন হতে না পারে সেই জন্য যে কোন
একটি এন্টিবায়ােটিক ঔষধ ৫-৭ দিন দিতে হবে। (৩) বাটে ব্যাথা কমানাের জন্য ব্যাথানাশক ঔষধ যেমন: ইনজেকশন ডিপেইন
১০মিলি (এফ এন্ড এফ) মাংসপেশীতে পর পর ৩-৫দিন দেওয়া যেতে পারে।
• দুর থেকে দেখলে মনে হয় ওলানে দুধ টন টন করছে কিন্ত বের করা যাচ্ছে না। * বাটের মাঝখানে গিরা বা ছোট টিমারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। নিয়মঃ প্রতিবার ৭-১০টি বড়ি দিনে ২ বার মােট ৩-৪দিন খাওয়াতে হবে।
অথবা রেনা-কে ১০ গ্রাম (রেনাটা) প্রতিটি গাভীকে ৫গ্রাম প্রতিদিন ৫দিন খাওয়াতে হবে।
প্রতিরােধ:
(ক) পশুকে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার দিয়ে এ রােগ প্রতিরােধ করা যায়। (খ) ডেইরী ফার্মের জন্য শাহিওয়াল জাতের গরু নির্বাচন কম করতে হবে। (গ) ওলানে যে কোন প্রকার সংক্রমণ না হয় তার প্রতি তীক্ষ দৃষ্টি রাখতে হবে। (ঘ) গােয়ালাকে গাভীর দুধ দুহানাে আস্তে আস্তে করতে হবে। (ঙ) দুধ দুহানাের সময় যাতে ওলানে কোন প্রকার আঘাত না লাগে সেদিকে লক্ষ্য।
রােগ নির্ণয়:
বৈশিষ্টপূর্ণ উপসর্গ ও বাচ্চা দেওয়া, শাহিওয়াল ও দেশী জাতের গাভী এবং পূর্বেবিয়ানে দুধে রক্ত আসার ইতিহাস জেনে এ রােগ নির্ণয় করা হয়। চিকিৎসা:বাটের ছিদ্র বন্ধ থাকা (Teat block) গাভী বাচ্চা দেয়ার পর অথবা দুধ দেয়ার সময় কোন কোন গাভীর বাটের ছিদ্র বন্ধ। হয়ে যায় ফলে ওলানে দুধ থাকে তবে বাটের ছিদ্র বন্ধ থাকার কারণে দুধ সহজে বের হতে পারে না। সাধারণত আমাদের দেশের সংকর জাতের গরুতে এবং বিশেষ করে শাহিওয়াল ও দেশী জাতের গাভীর এ রােগটি বেশী দেখা যায় (চিত্র-৩০)। কারণ:
> বাটে ক্ষত হওয়া। > ওলানে Cowpox হলে। > Tumor হলে। > বাটের ছিদ্র পথে Fibrous growth হলে। > দুধ দোহনের সময় বা পরে ফ্রেশ রক্ত আসা পরবর্তী ল্যাকটেশনের বাটে এ
ধরণের রােগ দেখা যায় । লক্ষণ: বাচ্চা হওয়ার পর দেখা যাবে
• পশুর ওলানে প্রচুর দুধ টানলে বাটের ছিদ্র পথ দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে বের হয় না। • বাটের ছিদ্র খুব ছােট হয়। • দুধ আসলে ও দুধের বেগ খুব চিকন বা কম। বার বার টানলে গভীর ব্যাথা অনুভব করে। দুধ টান দিলে বাটের মাধ্যমে এসে বের না হয়ে ড্রপকরে উপরে উঠে যায়।
(১) গরুকে মাটিতে শুয়ায়ে নিয়ন্ত্রণ করে প্রথমে Teat Syphon ঢুকিয়ে বাটের ছিদ্র পথ ক্লিয়ার করতে হবে। এতে দুধ আসা তখন স্বাভাবিক হয়ে যায়, এতে না হলে বাটের ভিতর মাংস পিন্ড Teat strieter দ্বারা কেটে দিতে হবে। (২) বীটের ভিতরে কোন জীবাণুর আক্রমন হতে না পারে সেই জন্য যে কোন একটি এন্টিবায়ােটিক ঔষধ ৫-৭ দিন দিতে হবে। (৩) বাটে ব্যাথা কমানাের জন্য ব্যাথানাশক ঔষধ যেমন: ইনজেকশন ডিপেইন
১০মিলি (এফ এন্ড এফ) মাংসপেশীতে পর পর ৩-৫দিন দেওয়া যেতে পারে।
(ক) গাভীকে স্বাস্থ্য সম্মত স্থানে পালন ও দুধে হালকা রক্ত আসলে ততক্ষনাৎ চিকিৎসা
করে বাটের ক্ষত সারাতে হবে। (খ) নিয়মিত ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য দিলে এ রােগ অনেকাংশে কমে যায় ।
দুধ না হওয়া বা কমে যাওয়া (Agalactia) গাভীর অনেক সময় বিভিন্ন কারণে ওলানে দুধ থাকলেও নামে না কিংবা হঠাৎ করে দুধ কমে যায়। কারণ:
> প্রথম বাচ্চা দেওয়ার সময় বাচ্চার মৃত্যু ঘটলে। > গােয়ালার পরিবর্তন হলে। > স্থান ও মালিকের পরিবর্তন হলে। > খাদ্যে ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটলে।
> বাচ্চা হওয়ার পর গর্ভফুল বা Placenta গাভীতে খেয়ে নিলে। লক্ষণ:
• ওলান দেখতে বড় মনে হবে। • গাভী কিছুটা অস্বস্থি বােধ করবে। • কলস্ট্রাম দুধ অনেক বের হওয়ার পর ওলান আস্তে আস্তে শুকিয়ে যাওয়া। • দুধ কম হওয়া।
বাচ্চা দুধ না পাওয়া। রােগ নির্ণয়:
ইতিহাস শুনে, ওলান দেখে এবং দুধ কতটুকু হয় তা জেনে এ রােগ নির্ণয় করা যায়। চিকিৎসা: দুধ না নামা বা না হওয়া পশুর দুই উপায়ে চিকিৎসা করা যায়ঃ পদ্ধতি-১ (ওরাল ডিবি ভিটামিন খাওয়ানাের মাধ্যমে ও পদ্ধতি-২(ইনজেকশনের মাধ্যমে) এ দুটি পদ্ধতি যে কোন একটি অনুসরণ করলে পশুর অবশ্যই দুধের পরিমান বাড়বে। পদ্ধতি-১ :(ওরাল ডিবি ভিটামিন খাওয়ানাের মাধ্যমে।
অথবা এডিভিট-ডিবি (Adivit-DB, F n F) অথবা অরভিটা ডিবি (Orvita-DB, Obitec) অথবা বায়ােমিক্স-ডিবি (Biomix-DB,
Techno) খাওয়ানাে পদ্ধতিঃ প্রতি মাঝারি সংকর জাতের গাছকে প্রতি দিন ১০ হতে ২০
আম বা ২ চা চামচ হতে ৪চা চামচ এক বারে বা দুবারে দানাদার খাদ্যের সংগে কমপক্ষে ১৫-৩০ দিন খাওয়াতে হবে, তবে দুধের পশুকে সব সময়। ডিবি ভিটামিন খাওয়ানাে দরকার। ছাগলকে প্রতিদিন ১-২ চামচ একই
নিয়মে খাওয়ানাে যায়। পদ্ধতি-২:(ইনজেকশনের মাধ্যমে)। R,। (১) ক্যালসিয়াম জাতীয় ঔষধ যেমন- Inj. Decam 200 ml (Acme) /
Inj. Cal-D-Mag Vet 200 ml (Renata) a Inj. Cofa
calcium 250 ml / Inj. Calmaphos 200 ml (Arif) নিয়মঃ উপরের যে কোন একটি বড় পশুর জন্য ১০০-২০০মি.লি ও ১০০০ সিসি
৫% Dextrose Saline (Opsonin) যােগে শিরায় দিতে হবে। (২) উক্ত স্যালাইনের ভিতর ইনঃ Oxytocin synth গ্রুপের ঔষধ যেমন- Inj.
Oxcin (Techno) বা Intertocin-S (Intervet) যে কোন ১টি ৫
১০ মিলি দিলে ভাল সুফল পাওয়া যায়। . (৩) ক্লোরােপ্লোমাজিন জাতীয় ঔষধ যেমন- Inj. Largactil ২০ মিঃ গ্রাম দিনে ২ বার।
style="background-color: transparent; color: #434343; font-family: Arial; font-size: 13pt; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; text-decoration: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap; white-space: pre;">করে মােট ২-৩ দিন মাংসপেশীতে দিতে হবে। এতে দুধের চাপ দ্রুত আসে। প্রতিরােধ:
(ক) পশুর বাচ্চা যাতে না মারা যায় সেই দিকে নজর দিতে হবে। (খ) দুধ দােহনের জন্য গােয়ালার পরিবর্তন করা যাবে না। (গ) সুষম খাবার সরবরাহ দিতে হবে।
Post a Comment