গরু বা মহিষ কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

 

পশু নিয়ন্ত্রণRESTRAINT OF ANIMALS

পরীক্ষা-নিরীক্ষা, নমুনা সংগ্রহ ও সশুকে সঠিকভাবে রুগ্ন পশুর বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গ সুষ্ঠভাবে এবং নিরাপদে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না চিকিৎসার জন্য পশুকে প্রথমে নিয়ন্ত্রণের প্রয়ােজন হয়। কারণ পশুকে স নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে চিকিৎসক, কম্পাউন্ডার ও ড্রেসার রােগ। আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারেন। এতে পশুর রােগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ব্যাঘাত রােগ নির্ণয় করার পূর্বে পশু নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরী।

পশু নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য সমূহ:

১। পশুর বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য। ২। তাপমাত্রা, শ্বাস-প্রশ্বাস ও নাড়ীর স্পন্দন ইত্যাদি নির্ণয় করার ক্ষেত্রে। ৩। পশুর শরীরে ঔষধ প্রয়ােগ যেমন- ঔষধ খাওয়ানাে, শরীরে ঔষধ লাগানাে

ইনজেকশন, ভ্যাকসিন প্রয়ােগ করার সময়। ৪। পশুর অপারেশনের সময় যেমন- ফোড়া, টিউমার, সিষ্ট, ক্ষত, সিজারিয়ান, . খােজাকরণ, প্রসব করানাে, গর্ভফুল বের করা, পায়ে জুতা পড়ানাে ইত্যাদি। ৫। কৃত্রিম প্রজনন করানাের সময়। ৬। পশুকে গ্রুমিং করানাের সময়। ৭। স্ত্রী জাতীয় পশুর দুধ দোহনের সময়। । পশু নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি (Methods of Animal Restraint)

জে অথবা রাখাল নিজে গলা ভ করে অথবা পশুর নাম ধরে পশুকে প্রধানত ৩টি পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রন করা হয় যথা:১। সাইকোলজিক্যাল নিয়ন্ত্রণ (Psychological Restraint)

আদর দিয়ে নিয়ন্ত্রণ-যেমনঃ পশুর মালিক নিজে অথবা রাখাল " চুলকানাে, মাথা, নাক ইত্যাদি চুলকিয়ে বা মেসেজ করে অথবা  ডেকে অথবা কথা বলে পশুকে সাইকোলজিক্যাল নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ২। শারীরিকভাবে নিয়ন্ত্রণ (Physical Restraint)

পণ্ডর বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গ, বিভিন্ন কায়দায় সরাসরি ধরে অথব দেহের বিভিন্ন স্থানে প্রয়ােগ করে পশুকে প্রধানতঃ দু’ভাবে নিয়ন্ত্রন

দাড়ানাে অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ (Standing Methods of Restraint)।

পশুকে মাটিতে না ফেলে দাঁড়ানাে অবস্থায় বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বণ করে। নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ভেটেরিনারি চিকিৎসাহর পশু সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য দাঁড়ানাে অবস্থায় পশু নিয়ন্ত্রণের কয়েকটি সহজ পদ্ধতির বিবরণ নিম্নে দেওয়া হল। (i) ধরে পশুকে নিয়ন্ত্রণ (Catching of animals):

ফার্মে বা বাড়ীতে পালন করার সময় বা বাজারে নেওয়ার সময় পশুর শিং বা। গলায় দড়ি লাগিয়ে বা মাথা ধরে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ অবস্থায় ২ জন সহকারীর মাধ্যমে গরু-মহিষের শিং, মাথা, নাক, মুখ ও গলার দড়ি ধরে

পশুকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। (ii) বিভিন্ন অঙ্গ ধরে পশুর নিয়ন্ত্রণ (Holding the different parts of of animal): বিভিন্ন প্রজাতির পশুর ভিন্ন ভিন্ন শরীরের অঙ্গ-প্রতঙ্গ ধরে পশুকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। ১. মাথা ধরে নিয়ন্ত্রণ- সাধারনত গরু ও মহিষকে নিয়ন্ত্রনের জন্য গলায় চেইন, গলা,

মুখ, শিং ও কানে দড়ি, পায়ে দড়ি, ঘােড়ার লাগাম ইত্যাদি ব্যবহার কর হয়। ২. পশুর মাথা সহকারীর শরীরের সংগে ধরে নিয়ন্ত্রণ- এ পদ্ধতিকে সহকারী এক হাত দিয়ে মাথা ও অন্য হাত দিয়ে মুখ তার নিজের শরীরে সংগে শক্ত করে | ধরে সহজে পশুকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় (চিত্র-১)। ৩.শিং ধরে নিয়ন্ত্রণ- সহকারী বা পশু মালিক ডান হাত দিয়ে পশুর শিং এর

গােড়া শক্ত করে ধরবে এবং অন্য হাত দিয়ে মুখের নিচের অংশ একটু উচু ও কাত করে ধরে, পশুকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় (চিত্র-০২)। | পিঠের উপরের চামড়া ধরে নিয়ন্ত্রণ - পশুর পিঠের ঢিলা চামড়া এক হাতে ধরে অন্য

হাতে গলার দড়ি অথবা লেজ শক্ত করে ধরে পশুকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ৫, একদিকে লেজ টেনে ধরে নিয়ন্ত্রণ - পশুর লেজ যে কোন দিকে পশুর শরীরের পার্শ্বে বা।

দেয়াল বা গাছের সংগে শক্ত করে ধরে সহজে পশুকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ৬. সামনের যে কোন পা উঁচু করে পিছনের দিকে ভেঙ্গে ধরে নিয়ন্ত্রণ - পশুর যে।

কোন সামনের পায়ের গােড়ালীর অংশ বা পেসটার্ন অংশ একহাত দিয়ে ধরে পেছনে দিকে কারপাল জয়েন্টকে ভাজ বা ভেঙ্গে ধরতে হবে। এতে পশু নড়াচড়া করতে পারে না। এভাবে পশু নিয়ন্ত্রণ করে পশুকে বিভিন্ন ইনজেকশন বা শরীরে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষাসহ জ্বর, শ্বাস-প্রশ্বাস ও নাড়ীর স্পন্দন নেওয়া যায় 

থুতনী সহকারীর শরীরের সংগে ধরে নিয়ন্ত্রণ- সহকারী বা পশু বা হাতে দিয়ে পশুর নীচের চোয়ালের অংশ ধরবে অন্য হাত দিয়ে শিং বা কান শক্ত করে ধরে পশুকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়,কের সেপ্টাম ধরে নিয়ন্ত্রণ - পশুর দুই নাকের ছিদ্রের মাঝখাত সিপ্টাম এক হাতের আঙ্গুল দ্বারা ধরে অপর হাতে পশুর শিং 

নাকের সেপ্টাম ছিদ্র করলে পরিয়ে এবং রিং এ দড়ি লাগিয়ে পশুকে সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায় . বুল হােল্ডার প্রয়ােগের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ- সাধারনত ব্রিডিং কাজে বা গরুকে নেজাল সেপ্টামে নােজ রিং পরিয়ে ও একটি লােহার রডে আংটা বা আল করা অংশ দিয়ে নােজ রিং ধরে পশুকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।  এয়ার টুইজ ব্যবহার করে- এ পদ্ধতি সাধারনত ঘােড়ায় ব্যবহৃত হয়। এটি আর কিছুই নয়। একটি হাফ ফুট লম্বা কাঠ যার মাথায় ছিদ্র থাকে এবং চিকন দডি পরানাে থাকে এবং এটির সাহায্যে ঘােড়ার কানের গােড়ায় দড়ির লুপ দ্বারা প্যাচ দিয়ে লুপটিকে আস্তে আস্তে ছােট করতে হবে এবং মােচড় দিতে হবে যাতে কানে একটু প্রেসার থাকে। এতে ঘােড়া কানের দিকে মনােযােগী হবে। ফলেঘােড়ার শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরীক্ষা ও ইনজেকশন সহজেই দেয়া যাবে। কুকুরকে নিয়ন্ত্রন করতে মুখে মােটা গজ বা ফিতা ব্যবহার করা যায় দাঁড়ানাে অবস্থায় পশু নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি । এক হাত দিয়ে মাথা/শিং দিয়ে মুখ শরীরের সংগে শক্ত করে ধরে পশুকে নিয়ন্ত্রণ।


কাস্টিং পদ্ধতি: পশুকে দাঁড়ানোর সময় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং মাটিতে শুয়ে এটি পরীক্ষা এবং চিকিত্সা করা যেতে পারে। সবচেয়ে ভালো উপায় হল অসুস্থ পশুকে সঠিকভাবে পরীক্ষা করা এবং মাটিতে পড়ে থাকা পশুকে নিয়ন্ত্রণ করা। এইচ-র্যাপ পদ্ধতি এবং জাবেস পদ্ধতি সাধারণত গবাদি পশুর মাটি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়। (1) খড় দড়ি পদ্ধতি; আমাদের দেশে সাধারণত গরুগুলোকে এইচ-রেপ পদ্ধতিতে অধিক মাটিতে ফেলা হয়। শিং / মাথা থেকে সামনের দিকে 30 ফুট লম্বা কর্দমযুক্ত দড়িযুক্ত প্রথম প্রাণী। এটি মাথা / ঘাড়ে বেঁধে রাখা উচিত এবং গলা উন্মুক্ত করা উচিত নয়। দড়ির এক প্রান্ত গরুর সামনের দুই পায়ের পিছনে বুকের সাথে চেপে ধরতে হবে এবং সেই দড়ির সাথে পিছনের সামনের অন্য দুটি প্যাচ পশুর সামনে দড়ি দিয়ে টানতে হবে এবং যদি এক প্রান্ত টানা হয় প্রাণী মাটিতে পড়ে যাবে এবং পড়ার পর পিছনের দুই পা শক্ত রশি দিয়ে বেঁধে দিতে হবে
গরু বা মহিষ কিভাবে নিয়ন্ত্রণ




Post a Comment

Previous Post Next Post