গরুর চিকিৎসা ঔষধ (Cow medicine)



 

ওলান প্রদানের কারনের ওলানের বাটের ছিদ্রের মাধ্যমে ওষধ প্রয়োগ করতে হয় ।মলম  বা তরল ওষধ  বাটের ছিদ্রে পথে  ওলানের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে দিতে হইবে। ওষধপূণ সিরিজ বা টিউবের সাথে বাটে প্রবেশ জর‌্য চিকন নল থাকে।নল

ছিদ্রে ঢুকিয়ে টিউব টিপলে বা ইনকেমানের মত সিরিঞ্জের হাতল ঠেলা দিলে সমস্ত ঔষধ ওলানে প্রবেশ করে। এজন্য পশুর ওলানের সম্পূর্ণ দুধ বের করে ফেলে জেন্টমাস্ট টিউব সরাসরি বাটের ছিদ্রের মাধ্যমে প্রবেশ করা হয়। ফলে ওলানের স্থানীক প্রদাহ দ্রুত সেরে উঠে। 

 যােনি/জরায়ুতে ঔষধ প্রয়ােগ (Vaginal or Intrauterine Application) যােনী, জরায়ু

পায়ুপথের রােগ চিকিৎসায় তরল ঔষধ সাপােজিটোরিস অথবা বড়ি এসব জাগায় প্রয়ােগ করতে হয়। বড়ি বা সাপােজিটোরিস সাধারনত হাত দিয়ে ঢুকিয়ে দিতে হয় ঔষধ ঢুকানাের পূর্বে হাত ভাল করে ধুয়ে জীবাণুনাশক মলম, ক্রিম বা লােশান লাগিয়ে নিতে হয়। হাত দিয়ে ঔষধ ঢুকাতে অসুবিধা হলে বড়ি গুড়াে করে। পরিমানমত পরিশ্রুত পানির সাথে মিশিয়ে অথবা অন্য কোন তরল ঔষধ টিউব অথবা কেথেটারের সাহায্যে ঢুকিয়ে  এন্টিবায়ােটিক ট্যাবলেট বা সালফোনামাইড ট্যাবলেট জরায়ুতে জীবানু সংক্রামনে, দমনে বা জরায়ু বের হয়ে আসলে বা ফুল আটকে গেলে সংক্রামক রােগ হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য জরায়ুতে ঔষধ প্রয়ােগ করতে হবে

পশু চিকিত্সায় ঔষধ ব্যবহারে কতিপয় নিয়মাবলী

 ১।ঔষধ ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ঔষধের গায়ে মেয়াদ আছে কিনা দেখে নিতে হবে।

মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ ঔষধ প্রয়ােগের ফলে পশু বিষক্রিয়া বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মারা যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই কখনােই মেয়াদ উর্তীর্ণ ঔষধ প্রয়ােগ করা যাবে না।

২। ঔষধ ভেটেরিনারী সার্জনের ব্যবস্থাপত্র নির্দেশ মােতাবেক ব্যবহার করতে হবে। পরিমানমত ঔষধ পশুকে প্রয়ােগ করতে হবে। কখনােই মাত্রার নীচে বা মাত্রাতিরিক্ত ঔষধ প্রয়ােগ করা যাবে না কারণ সঠিক মাত্রার কম ঔষধ দিলে রােগের বিরুদ্ধে কোন কাজ হবে না ফলে কখনােই সঠিকমাত্রার নীচে ঔষধ ব্যবহার করা যাবে না, এতে অর্থের অপচয় ছাড়া কিছু হয় না।

৩। ঔষধ ব্যবহারে পূর্বে অবশ্যই দেখে নিতে হবে তার পরিমান গুনগত মান ঠিক আছে কিনা

৪। কারণ অনেক ঔষধে মেয়াদ উত্তীনাের আগেই গুনগত মান নষ্ট হয়ে যায়। কোন ঔষধে ভিতরে যদি তলানী পড়ে বা স্বাভাবিক রং পরিবর্তন হয় বা পচা গন্ধ বের হয় ইত্যাদি দেখে নিশ্চিত করতে হবে।

৫।  ঔষধ প্রয়ােগের হাতিয়ার যেমন- ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, নিডিল, খাওয়ানাের চোংগা, বােতল যেন ভাল হয় এবং সেগুলি জীবানু মুক্ত হয় সেই দিকে খুব সর্তক থাকতে হবে।

৬। সঠিকভাবে সুন্দরভাবে ঔষধ প্রয়ােগ করতে হলে অবশ্যই পশুকে ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

৭। ঔষধ ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী নিদিষ্ট সময় পর পর প্রয়ােগ করতে হবে।

৮। ঔষধ ব্যবহারের পর পশুর কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা লক্ষ্য রাখতে হবে। > ঔষধ ব্যবহারের পর পশুর রােগের উন্নতি হচ্ছে কিনা তা প্রতিদিন অবলােকন করতে হবে

৯। ঔষধ প্রয়ােগ অবশ্যই অভিজ্ঞ ব্যক্তির দ্বারা হতে হবে। অন্যথায় ঔষধ যথাযথ স্থানে প্রয়ােগ করা হয় না এবং অনেক সময় পশু দুর্ঘটনায় মারা যেতে পারে

 

Post a Comment

Previous Post Next Post