শয়তানের পরিচয়,মানব জাতির আসল ও চির শত্রু শয়তানের পরিচয়, কুরআনের কথা,[Satan's Identity]


শয়তানের পরিচয়,মানব জাতির আসল ও চির শত্রু শয়তানের পরিচয়, কুরআনের কথা,;

 শয়তানের পরিচয়:বিজ্ঞানীরা, ধরে নিলাম, সৌরজগতের অন্য কোনো গ্রহ অথবা উপগ্রহকে মানুষের বসবাসের উপযোগী করে তুলতে পারলো এবং একদল মানুষকে সেখানে বসবাসের জন্য নিয়ে যাওয়া হলো। বিজ্ঞানীদেরকে যার-পর-নাই অশেষ ধন্যবাদ আর ধন্যবাদ। কিন্তু বিজ্ঞানীদেরকে মাত্র একটি কথাই বলতে চাই আর সেই কথাটি হলো : সেই গ্রহে অবস্থানকারী মানুষেরা যখন মারামারি, ঝগড়াঝাটি, ঘৃণা, অবজ্ঞাপ্রদর্শন করবে; এমনকি হিটলার, চেঙ্গিস খাঁ, হালাকু খাঁ, কুবলাই খাঁ, তৈমুর লঙ, ইসলামের হিটলার হাজ্জাজ এদের এই হিংস্র আচরণগুলোকে কেমন করে, কী ঔষধ প্রয়োগ করে থামাতে পারবেন? একটু রাগানি¦ত ভাষায় বলছি, সকল বিজ্ঞানীর বাপের পক্ষেও ইহা মোটেই সম্ভবপরনয়। বিজ্ঞানীরা যদি গবেষণায় লেগে যায় তার ফলটি হবে একটি বিরাট অশ্বডিম্ব অথবা কাঁচকলা অথবা মানকচু। যদি বিজ্ঞানীদের বিবেক থাকে এবং আছে বলেই বিশ্বাস করি তা হলে বিজ্ঞানীরা বলে ফেলবে, বিশেষ করে এই বিষয়ের গবেষণা করে যে, ‘আমরা বালেস্য বাল হরিদাস পাল।' ভাষা এবং শব্দগুলো রূঢ়, কিন্তু বলতে বাধ্য হলাম। কারণ মানুষ যেখানেই যাক না কেন সেখানেই মানুষের সঙ্গে খান্নাসরূপী শয়তানটি মানুষের ভেতরেই অবস্থান করছে। সুতরাং খান্নাসরূপী শয়তানের আকাম-কুকামগুলো আশা করি আর বলে দিতে হবে না। তা হলে এই মানুষের ভেতর অবস্থান করা খান্নাসরূপী শয়তানটিকে কেমন করে তাড়িয়ে দেওয়া যায়? উত্তরটি হলো : আল্লাহ ওলির ভক্ত হও এবং ধ্যান সাধনার মোরাকাবাটি বছরের পর বছর করে যাও।



এক মিনিটে গাড়িবোমা ফাটিয়ে আহুতি দেওয়া যায়, কিন্তু যে আহুতি দিচ্ছে তাকে যদি বলা হয় যে, এই নির্জন গুহায় অথবাএই নির্জন স্থানে একটি ঘরে বসে দিনরাত ধ্যানসাধনা চালিয়ে যাও তা হলে ওই  আহুতি দেওয়া মানুষটি এই ধ্যানসাধনাটি করে কিনাসন্দেহ আছে। যারা বুঝবার তারা এই বাক্য কয়টিতেই পরিষ্কার বুঝতে পারবেন।আমাদের অবশ্যই ভালো করে জেনে রাখতে হবে যে, আল্লাহ দুইটি সেফাতের মধ্যে শয়তান খান্নাসরূপে বিরাজ করে। আল্লাহ সৃষ্টিরাজ্যের আর কোনো সেফাতের মধ্যেই খান্নাসরূপী শয়তানকে থাকার অনুমতি আল্লাহ দেন নাই।


সমগ্র সৃষ্টিরাজ্য তৌহিদে বাস করে: তৌহিদে শয়তানের থাকার অধিকারটি দেওয়া হয় নাই। তাই তৌহিদে বাস যারা করে তারাই মুসলমান। সুতরাং মানুষের অন্তরে এবং জিনের অন্তরে যে খান্নাসরূপী শয়তানটি অবস্থান করছে এই বিষয়টি আমরা হাদিসে অন্য ভাষায়দেখতে পাই। আমরা দেখতে পাই হাদিসে মহানবি বলছেন যে, মানুষের অন্তরে একটি গোশ্তের টুকরা আছে। সেই গোশ্তের টুকরাটি যখন পাকপবিত্র হয়ে যায় তখন পা থেকে মাথা পর্যন্ত সমস্ত দেহটাই পবিত্র হয়ে যায় এবং অপরপক্ষে ঐ গোশ্তের টুকরাটি যদি অপবিত্র হয় তবে পা থেকে মাথা পর্যন্ত সমস্ত দেহটিও অপবিত্র হয়ে যায়। (হুবহু উদ্ধৃত নয়)। মানুষকে অপবিত্রতার পচা ডোবায় গোসল করায়


এই খান্নাসরূপী শয়তান: ইহা চর্মচক্ষে সাধারণ মানুষ দেখতে পায় না এবং দেখার বিধানটি রাখা হয় নাই। যদি চর্মচক্ষে দেখার বিধানটি রাখা হতো তা হলে ‘আমি তোমাদেরকে পরীক্ষার জন্য দুনিয়াতে পাঠিয়েছি'- এই বাক্যটির আর মূল্য থাকে না।


আল্লাহ পাক শয়তানের সাতটি রূপ দিয়েছেন : তিনটি জাহেরি তথা শরিয়তি তথা মেজাজি রূপ এবং চারটি হাকিকি তথা আসলরূপ। শরিয়তি তথা মেজাজি শয়তানের তিনটি রূপ মাত্র একটি নগরীর একটি নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করে। শয়তান তিনটির নাম হলো : বড় শয়তান, মেঝ শয়তান এবং ছোট শয়তান। মেজাজি হাজিরা মেজাজি হজের এক পর্যায়ে মেজাজি শয়তানদেরকে মেজাজি পাথরের কঙ্কর ছুঁড়ে মারেন। এই মেজাজি কঙ্কর ছুঁড়ে মারার প্রশ্নে অনেক মেজাজি হাজি পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে কমবেশি প্রতি বছর মারা যান। আর হাকিকি শয়তান হলো চারটি। এই একের ভেতরে চারটি রূপের শয়তান মাত্র দুইটি স্থানে বাস করে। এই কথাটি অনেকবার বলা হয়েছে। সেই স্থান দুইটির নাম হলো : একটি জিনের অন্তর এবং অপরটি মানুষের অন্তর। এই জিনের অন্তর এবং মানুষের অন্তরে অবস্থান করা শয়তানটিকে যারা বাহিরে খুঁজতে চেষ্টা করে তাদেরই বা কী দোষ দেব?


শুনেছি - জানি না ইহা কতটুকু সত্য যে, আজাজিলের বাবার নাম ছিল গা-িব। আজাজিলেরা দুই ভাই। বড় ভাইয়ের নাম আবুল, ছোট ভাইয়ের নাম আজাজিল। তাই আজাজিলের বাবাকে আবুল গা-িবও বলা হয়। এই আবুল গা-িবের ছেলে, ফেরেশতাদের ইমাম, আজাজিল যখন আদমের বশ্যতা স্বীকার করতে অস্বীকার করলো তথা মেজাজি ভাষায় সেজদা দিতে অস্বীকার করলো তখনই আজাজিলইবলিসে পরিণত হলো। বালাসা অর্থ হলো অহঙ্কার। এই বালাসা শব্দটি আরবি নয়, বরং হিব্রু। শয়তানের আদি নাম ইবলিস। এই ইবলিস প্রতিটি মানুষের অন্তরে অবস্থান করে। তাই রূপক ভাষায় বলা যেতে পারে যে, এই ইবলিসকে মুসলমান বানিয়ে ফেল।


আল্লাহ আবদুহুদের সাথে আল্লাহ ইচ্ছা করেই ইবলিসকে দেন নাই। তাই আবদালদের কোনো এবাদত-বন্দেগি, ধ্যানসাধনা, মোরাকাবা-মোশাহেদা করার কথাটি পাই না। যদিও কিছু কিছু আরবি ভাষা জানা প-িতেরা আবদাল ওয়ায়েস করনিরও- তাঁর জীবনী লিখতে গিয়ে- এবাদত-বন্দেগির কথা লিখে ফেলেছেন। আরবি ভাষার প-িতেরা আবদালদেরকে নিজের মতো করে ভেবেছে তাই ভুলটি করা হয়েছে। এই রকম পদে পদে হোঁচট খাওয়া কতো মারাÍক ভুলে সাধারণ মানুষদেরকে সঠিক পথ পাবার পথে বার বার হোঁচট খেতে হয়।


Post a Comment

Previous Post Next Post