তড়কা রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা

Anthrax=মানে হল তড়কা।
গরুর অতি তীব্র মারাত্নক ব্যাকটেরিয়াল রোগ হলো তড়কা (Anthrax)। এ রোগের প্রচলিত নাম তড়কা, উবামড়কী, তীলাজ্বর, ধরকা বা গলি। গরুর এই তড়কা রোগ হলে চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ থাকে না, তারআগেই মারা যায়। সাধারনত বর্ষাকালের প্রথম দিকে এই রোগের লক্ষন বেশি দেখা যায়

কারণ:Bacillus anthrax নামক ব্যাকটেরিয়া এই রোগের দায়ী।

লক্ষণ:১ বেশির ভাগ সময় কোন লক্ষন প্রকাশ পাওয়ার আগেই গরু মারা যায়। মারা যাওয়ার পর দ্রুত পেট ফেপে যাবে এবং বিভিন্ন ছিদ্রপথ (যেমনঃ নাক, মুখ, কান, মলদ্বার, যোনীদ্বার) দিয়ে আলকাতরার
অল্প রোগের ক্ষেত্রে গরু ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত বেচে থাকে। আর এ সময় যে লক্ষন দেখা যায় তা হলো..........
২ অত্যাধিক জ্বর হয় এবং তাপমাত্রা ১০৭ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে থাকে।
৩ শ্বাস কষ্ট হয় এবং দাত কট্ কট্ শব্দ করে।
৪ শরীরের লোম খাড়া হবে ও পেট ফেঁপে যাবে।
৫ আক্রান্ত গরু মাথা নিচু করে দাড়িয়ে থাকে ও ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে শুয়ে পড়বে।

চিকিৎসা: লক্ষণ পাওয়ার সাথে সাথে নিচে পদ্ধতি অবলম্বন করলে ভাল পাওয়া যায়,
 বছরে এক বার প্রতিষেধক টিকা হিসাবে (Anthrax Vaccine) চামড়ার নিচে দিতে হবে।
 inj: Streptopen 2.5 দৈহিক ১০০ কেজি বডি ওজন হিসাবে ১টি করে ভায়াল মাংশে/ শিরায় ২৪ ঘন্টা পর পর ৩/৫ দিন দিতে হবে।
 inj: Pronapen vet 40 lakh মাংশ পেশীতে ১২ ঘন্টা পরপর দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
তার পাশাপাশি Asta-vet বা Histavet ইন:দিলে ভাল হয় ব্যবহার বিধি দেখে ঔষধ প্রয়োগ করতে হইবে।
প্রতিরোধ ব্যবস্থা:
 প্রতিষেধক টিকা (Anthrax Vaccine) প্রয়োগ করে ১০০% এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
 ৬ মাস বয়স উর্ধো সকল গরুকে বৎসরে একবার প্রতিষেধক টিকা (Anthrax Vaccine) প্রদান করতে হবে।
 বর্ষার পানিতে জেগে উঠা কোন ঘাস গরুকে খাওয়ানো যাবে না।
 তড়কা (Anthrax) আক্রান্ত মৃতঃ গরুকে কলিচুন সহযোগে ৬ ফুট মাটির নিচে গর্ত করে পুতে রাখতে হবে।
 মৃতঃ গরুর ঘড় জীবানু নাশক (যেমনঃ povisep, Biocid, পটাশ, ব্লিসিং পাউডার) দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
 মৃতঃ গরুকে Post mortem করা যাবে না এবং চামড়া ছাড়িয়ে নেয়া যাবে না



Post a Comment

Previous Post Next Post